1. info@www.dainikamaralo.com : দৈনিক আমার আলো :
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বালুয়াকান্দী ইউনিয়নে বিশাল মিছিল করেন কাপ-পিরিচ মার্কার সমর্থকরা বালুয়াকান্দী ইউনিয়নে কাপপিরিচ মার্কার গণসংযোগ করেন মোসাম্মৎ তানিয়া আক্তার বালুয়াকান্দী ইউনিয়ে কাপপিরিচ মার্কার গণসংযোগ করেন মোসাম্মৎ তানিয়া আক্তার চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে আগুনে পড়ে গেছে তিন হাজার থোর কলাগাছ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে দেদারসে আতশবাজি ব্যবসা গজারিয়ার নিহত বন কর্মকর্তার পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা সহায়তা ভবেরচর ইউনিয়নে নির্বাচনী জনসংযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিন্নাহ্ গজারিয়া সম্ভাব্য মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হুমকি,থানায় অভিযোগ গজারিযা পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলি, এক ডাকাত গ্রেফতার গজারিয়ায় টেংগারচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর আয়োজনে নির্বাচনী সভা ও দোয়া মাহফিল

চা চাষে সম্ভবনার সপ্ন দেখছে ঠাকুরগাঁওয়ের- চা চাষিরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

সিরাজুল ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
চা চাষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল পঞ্চগড়ের পর এখন পার্শ্ববতী জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও অসংখ্য চায়ের বাগান গড়ে উঠেছে। চা শিল্পের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে ওঠা দিগন্তবিস্তৃত এসব বাগানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়ের আবাদ শুরু হয়েছে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামেও।
জেলা ঘুরে দেখা মেলে, সমতলভূমিতে গড়ে তোলা ছোট-বড় অসংখ্য চা বাগান। বসতবাড়ির পেছনের জমিতে, বাড়ির আঙিনার আশপাশে, রাস্তার ধারে— আনাচকানাচের বিভিন্ন জমিতে এখন চা গাছের সবুজ রংয়ের সমারহে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এতে চা শিল্পে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন জেলার চাষিরা।
একসময় যে জমিতে আগাছা ছাড়া কোনো ফসল হত না সেই জমিতে এখন চা গাছের সমারোহ। নদীর ধারে যেসব জমি শুধু গোচারণ ভূমি হিসেবে পড়ে থাকতো, সেই দিগন্তবিস্তৃত জমিও চা চাষে সবুজের লীলাভূমিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর দিগন্তবিস্তৃত চা-বাগান ছাড়াও দেখা গেছে, যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই চায়ের গাছ লাগিয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা চায়ে লাভবান হওয়ায় দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে চায়ের চাষ। এতে চা অর্থকারি ফসল হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে জেলায়। আর এসব বাগানে কাজ করে স্থানীয় অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে জরিপ চালায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা গবেষণা ইনস্টিটিউট। ২০০০ সালের দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। পরে ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে চা চাষ হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম এর তথ্যমতে, জেলায় মোট ১৪৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে চায়ের বাগান। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৬ একর ৯৩ পয়েন্ট জমিতে ছোট-বড় মিলে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬ একর জমিতে ১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১১শ একর ৭৫ পয়েন্ট জমিতে ছোট বড় মোট ১০০টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৯ একর জমিতে ৪টি ও হরিপুর উপজেলায় ১০ একর জমিতে ৩টি চা বাগান রয়েছে।
সব থেকে বেশি চা চাষ করা হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এ উপজেলায় ১১ শ ৭৫ পয়েন্ট জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রনবাগ ও বেউরঝাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর কাছে অবস্থিত দু অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং